লেবাননে ইসরাইলি বাহিনীর ব্যাপক হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৭৪ জন নিহত এবং এক হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। সোমবার দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর প্রায় ৮০০ অবস্থান লক্ষ্য করে চালানো হামলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটেছে জানিয়েছে লেবানিজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে, ইসরাইলি বিমান হামলায় ২১ শিশু ও ৩৯ নারী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাড়িঘর, চিকিৎসা কেন্দ্র, অ্যাম্বুলেন্স এবং পালানোর চেষ্টাকারীদের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা গেছে, নাবাতিয়েহ’র আল-দুয়ার শহরের রাস্তাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ এবং ধ্বংসস্তূপ। সেখানকার বাসিন্দাদের আতঙ্কে চিৎকার করতেও দেখা গেছে। এমনকি হামলায় অ্যাম্বুলেন্সও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবানন ও লেবাননের বেকা অঞ্চলে হিজবুল্লাহর প্রায় ৮০০ টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা।
এর আগে, হিজবুল্লাহ সক্রিয় রয়েছে এমন এলাকা থেকে লেবাননের বাসিন্দাদের সরে যেতে বলে ইসরাইলি বাহিনী। তাদের অব্যাহত হামলার মুখে দক্ষিণ লেবানন থেকে লোকজনকে সরে যেতে দেখা গেছে।
লেবানন জুড়ে সমস্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে স্কুলগুলো দুই দিনের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কয়েকদিন ধরে লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী ও ইসরাইলি বাহিনীর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এরই মধ্যে আজ আকাশপথে ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। জবাবে ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলে ৩০টির মতো রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা।
হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা ইসরাইলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলি ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইসরাইল ব্যাপক সংঘাত চাইছে।
তিনি আরও বলেন, যদি মধ্যপ্রাচ্যে একটি বৃহত্তর যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে তা সারা বিশ্বে কারো উপকারে আসবে না। ইসরাইলের পদক্ষেপগুলোকে বিধ্বংসী যুদ্ধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে, লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত হামলা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট।