Homeরাজনীতিখালেদা জিয়ার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সাক্ষাত

খালেদা জিয়ার সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সাক্ষাত

বিএনপি চেয়ারপাসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নিতে তার বাসায় গিয়েছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবন ফিরোজায় যান সারাহ কুক।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার ও সম্প্রতি কারামুক্ত হওয়ার পর এটাই কোনো কূটনীতিকের সঙ্গে খালেদা জিয়ার প্রথম সাক্ষাৎ। সে হিসাবে ছয় বছরের বেশি সময় পর তিনি কোনো বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন অনেক দিন হাসপাতালে থাকার পর সম্প্রতি বাসায় ফিরেছেন। মাঝে তাকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল তা মওকুফ করেছেন রাষ্ট্রপতি।

এ দিকে শারীরিক নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে যাওয়া খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার কথাবার্তা চলছে। তার চিকিৎসক জানিয়েছেন বিমানে যাত্রা করার মতো পরিস্থিতি হলেই তাকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র অথবা যুক্তরাজ্য কিংবা সিঙ্গাপুর নেওয়ার কথা চলছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

সাক্ষাৎকালে ফিরোজায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল।

যে আলোচনা হয়:

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যসহ দেশের সার্বিক বিষয় নিয়ে এ সময় আলোচনা হয়। যুক্তরাজ্যের পক্ষে তাদের পরিকল্পনার কথা জানান সারাহ কুক। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘মূল উদ্দেশ্য ছিল ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ খবর। একই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য উনার শরীর ঠিক আছে কীনা।’
তিনি বলেন, ‘কূটনৈতিক মহলে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য নিয়ে একটা শঙ্কা ও চিন্তা ছিল। উনার সুস্থতা নিয়ে সবার মনে একটা প্রশ্ন ছিল। বাংলাদেশে একটা মুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে কূটনীতিকেরাও মুক্তভাবে চলাফেরা করতে পারছে। আগের সরকারের চাপে আগে যেটা সম্ভব হতো না।’
খসরু আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর, নতুন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ কোথায় যাচ্ছে-এ বিষয়টিও জানার ছিল তাদের (যুক্তরাজ্যের)। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের সম্পর্কের বিষয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা ম্যাডামকে জানিয়েছেন সারাহ কুক।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Exit mobile version