Homeঅন্যান্য খবরশেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরবেন ? জয় যা জানালেন রয়টার্সকে

শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরবেন ? জয় যা জানালেন রয়টার্সকে

দেড় বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের বক্তব্যে সন্তোষ জানিয়েছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ (জয়)। তিনি বলেছেন, এ সময়সীমা তাঁর প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। একই সঙ্গে সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে ছাড়া সত্যিকার সংস্কার ও নির্বাচন নয়। ২৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথাগুলো বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ।

এর আগে গত সোমবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছিলেন, এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গণতন্ত্র ফেরা উচিত।

সজীব ওয়াজেদ রয়টার্সকে বলেন, ‘অন্তত এখন যে আমরা (নির্বাচনের) একটা সময়সূচি পেলাম, এতে আমি খুশি। তবে এ ধরনের নাটকীয় পরিস্থিতি আমরা আগেও দেখেছি, যেখানে একটি অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত সরকার সংস্কারের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তখন পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছিল।’

১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশে কতগুলো সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে, সেগুলোর উল্লেখ করেন সজীব ওয়াজেদ। সাম্প্রতিকতম হয়েছিল ২০০৭ সালে, যখন সেনাসমর্থিত একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতায় ছিল। সেই সরকারের পর শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপর গত ৫ আগস্ট পদত্যাগের আগে শেখ হাসিনা ১৫ বছরের বেশি সময় ক্ষমতায় ছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বসবাসরত সজীব ওয়াজেদ বলেছেন, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁর সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার যোগাযোগ করেনি এবং তিনিও সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। ‘দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে আইনসংগত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব’, বলেন তিনি।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর এই বক্তব্যের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিনিধিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সজীব ওয়াজেদ গত মাসে রয়টার্সকে বলেছিলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এবং আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়।

শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরবেন, এই প্রশ্ন করা হলে সজীব ওয়াজেদ গতকাল বলেছেন, ‘এটা তাঁর (শেখ হাসিনা) ওপর নির্ভর করছে। এই মুহূর্তে আমি আমার দলের নেতা-কর্মীদের নিরাপদে রাখতে চাই। তাই ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন সরকার তাঁদের (আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী) ওপর যে নৃশংসতা চালাচ্ছে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সচেতন করতে চাই।’

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে বিচার বিভাগ, পুলিশ ও আর্থিক খাতের সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। সংস্কারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার ছয়টি কমিশন গঠন করেছে। গত বুধবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় জানিয়েছে, ছয় কমিশনের সুপারিশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে সরকার।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সংস্কার নিয়ে ঐকমত্য তৈরি হলে এবং ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ছয়টি কমিশনের একটি নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এই কমিশনের প্রধান সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার। পর্যালোচনার ভিত্তিতে আগামী তিন মাসের মধ্যে সংস্কারের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কি না বা নির্বাচন কখন হবে, সে সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’[ সূত্র: রয়টার্স]

Exit mobile version