থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন থাকসিন-কন্যা পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। থাই পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে ক্ষমতাসীন ফেউ থাই দলের নেতা পেতাংতার্ন একমাত্র মনোনীত প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পান। এতে দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হলেন ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন।
শুক্রবার পার্লামেন্টে ৩১৯ ভোটে জয়ী হন পেতংতার্ন। তার বিপক্ষে ভোট পড়েছিল ১৪৫টি। এসময় ভোটদানে বিরত ছিলেন আরও ২৭ জন। এক এক করে জনসমক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা। এতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় ব্যয় হয়। এক প্রতিবেদনে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পেতংতার্নের পিতা থাকসিন সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। নির্বাসনে থাকা পেতংতার্নের খালা ইংলাক সিনাওয়াত্রার পরে সিনাওয়াত্রা পরিবারের থেকে ওঠে আসা থাইল্যান্ডের তৃতীয় নেতা তিনি। এছাড়া, খালার পর থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রীও পেতাংতার্ন। গত বছর নির্বাসন থেকে ফিরে আসেন থাকসিন।
থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় তবে বিতর্কিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন থাকসিন। ২০০৬ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। তিনি ফেউ থাইয়ের আদর্শ নেতা হিসেবে জনপ্রিয়। মেয়ে পেতাংতার্নের রাজনৈতিক সমর্থনের পিছনে বাবার অবশিষ্ট জনপ্রিয়তা ও প্রভাবও একটি অন্যতম ভূমিকা রেখেছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানী ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেউ থাই পার্টির সাধারণ সম্পাদক সারোওং থিয়েনথং দল থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা দিয়েছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন পদচ্যুত হওয়ার পরদিনই ফেউ থাই পার্টি প্রধানমন্ত্রী পদে নিজেদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল। থাইল্যান্ডের বর্তমান সরকার ১১ দলের একটি জোটের সমন্বয়ে গঠিত। ক্ষমতাসীন জোটটির সবচেয়ে বড় দল ফেউ থাই পার্টি।
গত বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। পাশাপাশি তার মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়ারও রায় দেয়া হয়। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে ‘নৈতিকতার নিয়ম লঙ্ঘন’ করার অভিযোগে পদচ্যুত হন স্রেথা। এ যাবৎকালে স্রেথাসহ ফেউ থাই পার্টির তিনজন প্রধানমন্ত্রী সাংবিধানিক আদালতের রায়ে পদ হারিয়েছেন।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা
RELATED ARTICLES