গাজীপুরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ৬ বন্দী নিহত হয়েছে। পালিয়ে গেছে ২০৯ জন বন্দী । মঙ্গলবার বিকেলে কারাগার থেকে বন্দীদের এই পালানোর ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেলে কারাগারটির সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নিহতরা হলো- মৌলভীবাজারের রামেশ্বরপুর গ্রামের মকবুল মিয়ার ছেলে ইমতিয়াজ পাভেল (২৪), টাঙ্গাইলের তামটিয়া গ্রামের রাজ্জাক শেখের ছেলে স্বপন শেখ (৪০), সুনামগঞ্জের জলোশা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে আয়াতুল্লাহ (১৯), নরসিংদীর নলভাটা গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে মো. জিন্নাহ (২৮), নওগাঁ জেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে আসলাম হোসেন মোহন ( ২৬) ও রইস উদ্দিনের ছেলে আফজাল হোসেন (৬৩)।
জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দীরা বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহের সময় বন্দীরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের ঠেকানোর চেষ্টা করলে বন্দীরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। বন্দীরা দেয়াল ভেঙে, বিদ্যুতের পাইপ লাগিয়ে কারারক্ষীদের মারধর করে পালিয়ে যেতে চায়। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দেওয়া হলে সেনাবাহিনী কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করে। এরই মধ্যে ২০৯ জন বন্দী পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেওয়ার পরও বন্দীরা না থামায় নিরাপত্তাকর্মীরা গুলি করে। গুলিতে ৬ বন্দী নিহত হয়। নিহত ইমতিয়াজ পাভেল হত্যা মামলা, স্বপন শেখ ছিনতাই, আসলাম হোসেন মোহন হলি আর্টিজানের ঘটনায় ও আফজাল হোসেন মৃত্যুদণ্ডের আসামি ছিল।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘রাত ৩টা ৪০ মিনিটে কারা হাসপাতালের কর্মকর্তা আব্দুর রহিমের তত্ত্বাবধানে ৬ জনের মরদেহ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সকালে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা বাধা দেয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। পরে বিনা ময়নাতদন্তে ৬ জনের মরদেহ জেলা প্রশাসকের অনুমতি সাপেক্ষে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গুলিতে ৬ বন্দী নিহত ; পালিয়েছে ২০৯ জন
RELATED ARTICLES