আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, পেনশন, কোটাব্যবস্থাসহ অন্যদের বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হয়ে রাজনীতিতে বিএনপি এখন পরজীবী হয়ে গেছে। ৬ই জুন বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যের পররাষ্ট্রনীতি ও দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ এর উদ্দোগ্যে এই সেমিনারটির আয়োজন করা হয়।
পাশাপাশি এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে গতি হারিয়ে বিএনপি এখন পরজীবী দল হয়ে গেছে। তারা এখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে, শিক্ষকদের আন্দোলনে ভর করে। নিজেরা আন্দোলন করার ক্ষমতা হারিয়ে পরাশ্রিত আন্দোলন করছে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর বিএনপির নানা মন্তব্য প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ আরও জানান যে, ‘বিএনপি উন্নয়নের ফল ভোগ করেও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে। ফ্লাইওভার দিয়ে ১০ মিনিটে এয়ারপোর্ট নেমে বলে—দেশে উন্নয়ন হয়নি। মেট্রোরেলে এসিতে চড়ে প্রেসক্লাবের সামনে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে তারা বক্তব্য রাখে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল ভারত সফরের পর বিএনপির নানা ধরণের মন্তব্য হালে পানি পায়নি, এখন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর বিএনপি কী বলবে, সেটিও এখন দেখার বিষয়।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব’ উল্লেখ করে হাসান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে ভারতের যেমন চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি চীনের সঙ্গেও রয়েছে অত্যন্ত সুসম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যেমন চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও তেমনই সুসম্পর্ক।’
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইউরোপে কোনো সীমান্তচৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেকটিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সঙ্গেও কানেকটিভিটির বিষয় তিনি উল্লেখ করেন তার বক্তব্যে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও, অর্থাৎ আমরা রিজওনাল কানেকটিভিটি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।’
সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই সরকার কোটাব্যবস্থা বাতিল করেছিল। যেহেতু শিক্ষামন্ত্রীসহ দায়িত্বশীলরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন, আশা করা যায় সেখানে এর একটি সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য সমাধান আসবে।’
আওয়ামী লীগ নেতা এম. এ. করিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মীজানুর রহমান, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদ প্রমুখসহ আড়ো অনেকে।