ইসলামবিরোধী কোনো ধারা বাংলাদেশের আইনে সংযোজন হলে কারবালায় পরিণত হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মুহাম্মদ মামুনুল হক। বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুরের শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্কে গণহত্যার বিচার ও নৈরাজ্যবাদের বিরুদ্ধে গণসমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মামুনুল হক বলেন, ইসলাম বিরোধী কোনো ধারা বাংলাদেশের আইনে সংযোজন করা হলে শাপলা চত্বর কারবালায় পরিণত হবে।
‘কোনো অযুহাতে স্বৈরাচার হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসন করার চেষ্টা বাংলাদেশের মানুষ বরদাস্ত করবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইসলাম নির্মূল করার স্বৈরাচারী হাসিনার অ্যাজেন্ডা বাংলাদেশে আর চলবে না।
তিনি বলেন,সরকারকে বলতে চাই- শিক্ষা কমিশন নামে যে কমিশন গঠন করা হয়েছে, এর মধ্যে সমকামিতার প্রমোটকারী যারা রয়েছেন তাদের শিক্ষা কমিশন থেকে বাদ দিন। ইসলামি শিক্ষাবিদ, আলেম, ওলামাদের প্রতিনিধি সেখানে অন্তর্ভুক্ত করুন। এটা আমাদের অনুরোধ নয়, আমাদের অধিকারের কথা। আজ জেলা শহরের মঞ্চ থেকে বলছি, কয়েকদিন পর ঢাকা থেকে বলবো। এরপরে শাপলা চত্বরে যাবো, এরপরও যদি আমাদের কথায় কর্ণপাত না করা হয় তাহলে গণভবন বঙ্গভবন কোনোকিছুই ছাড়বো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সরকার যে সকল আইন পাস করেছে, সেখানে কোথায় কোথায় কোরআনবিরোধী ধারা রয়েছে সেগুলো সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করুন। নতুন করে যদি ইসলামবিরোধী, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনও ধারা আইনে সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হয় তাহলে শাপলা চত্বরে নতুন কারবালা হবে। বন্ধুত্বের জন্য আমরা অনেকের দিকে হাত বাড়াতে পারি, কিন্তু কেউ যদি প্রভুত্বের দৃষ্টি দেয় আমরা সে চোখ উপড়ে ফেলতে প্রস্তুত আছি।
বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে শুধুমাত্র আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়নকে ঠেকিয়ে রাখার জন্য। বাংলাদেশকে নিজেদের দেশের করতলগত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য পার্শ্ববর্তী দেশের দাদাবাবুরা এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, সার্বভৌমত্বের অধিকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদিরা তিন তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তাদের একতরফা প্রশ্রয়ের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। তারা একটিবারের জন্য চিন্তা করে নাই এদেশের মানুষের অভিপ্রায় কী, চাওয়া কী।এদেশের মানুষ তাদের মতামত ব্যক্ত করার সুযোগ পায়নি। শুধু ভারতের স্বার্থকে রক্ষা করার জন্য এদেশের মানুষের অধিকারকে, চাওয়া-পাওয়াকে, ভোটের অধিকারকে তারা তাদের দুই পায়ে পিষ্ট করেছে। তারা বাংলাদেশে স্বাধীন প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়নি, তারা একজন মুখ্যমন্ত্রী বসাতে চেয়েছিল।’
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার বিচার দাবি এবং নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এই গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস জামালপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আলী খানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে খেলাফত মজলিস ও আলেম-ওলামারা বক্তব্য রাখেন।