নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গার্মেন্টস শ্রমিক বদিউজ্জামান হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি এ কে এম শামীম ওসমান, শামীম ওসমানের ভাতিজা আজমিরী ওসমান, শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান, শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কাউসার আহাম্মেদ পলাশ সহ ৩৬ জনের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন বাদি হয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে সন্ধ্যা ছয়টার সময় আসামিরা নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ করে ভয়ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এ সময় তারা নিজেদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন। আসামিরা হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে তার স্বামী গার্মেন্টস শ্রমিক বদিউজ্জামান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় আসামিরা বদিউজ্জামানের ব্যবহৃত ১৮ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল ফোনটিও লুট করে নিয়ে যায় বলে মামলায় বাদী অভিযোগ করেন। পরে বদিউজ্জামানকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলায়,সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক এমপি এ কে এম শামীম ওসমান, তার ছেলে অয়ন ওসমান,ভাতিজা আজমিরী ওসমান,নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম ভূইয়া হেলাল,মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, শ্রমীকলীগ নেতা কাউছার আহম্মেদ পলাশ, বাবু, সবুজ,সবুজ সিকদার,শফিক, কাজী শাওন, আব্দুল মজিদ, খোকন, রহমান, কামাল হোসেন, সেলিম আহম্মেদ হেনা, রুস্তম, আক্তার,মোঃ শামিম, লিটন, কবির, নিজাম খা, পান্না,সঞ্জিত চন্দ্র দাস, মোঃ আবুল হোসেন, গাজী নূরে আলম,রফিকুল ইসলাম ওরফে কানা রফিক,মোজাম্মেল, রোমান,মোঃ শাহাবুদ্দিন আকন্দ, জাকির হোসেন চেয়ারম্যান,ফজর আলী চেয়ারম্যান, মোঃ শাহীন রাজু মেম্বারের নাম উল্লেখ করা হয়।