কবি ও ভাবুক ফরহাদ মজহার বলেছেন,‘আমাদের সমাজের রাষ্ট্রচিন্তা অত্যন্ত দুর্বল, রাষ্ট্র এবং সরকারের পার্থক্য বুঝি না। আমি বারবার “গঠন” কথাটা বলি। এই গঠন ধারণার মধ্যেই প্রতিবন্ধী কথাটি আছে। কারণ, সে দেশের নাগরিক। যে রাষ্ট্র গঠন করবেন, তার নীতিগত ভিত্তির মধ্যে রাষ্ট্রের ভিন্নভাবে প্রতিভাবান মানুষেরা থাকতে হবে।’ শনিবার ‘জনপরিসরে অদৃশ্য প্রতিবন্ধী নাগরিক: বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গঠনে আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ফরহাদ মজহার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান
অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে সোসাইটি ফর দ্য এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাস (বি–স্ক্যান) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, ‘আমরা এখনো একটি রাষ্ট্র গঠন করতে পারছি না। রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব হলে প্রতিবন্ধী নাগরিকেরা তার মধ্যে চলে আসবেন। তাঁদের (প্রতিবন্ধী) কারও দয়ার প্রয়োজন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি গ্রামে বড় হয়েছি, গ্রামে প্রতিবন্ধীদের জন্য একটা আলাদা দরদ ছিল, কোনো সংকট আকারে হাজির হয়নি। সমাজ তার (প্রতিবন্ধী) প্রতি রেসপন্স করে। এখন বিষয়টি রাষ্ট্র এবং সমাজে ভেঙে গেছে। পুঁজিবাদের যে ব্যাপার, এটা সবকিছু ভেঙে ফেলে।’
আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে বাংলা একাডেমির পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘যারা প্রাকৃতিকভাবে প্রতিবন্ধী, তাদের দিকে তাদের মতো করে নজর দিতে পারাটা সভ্যতা–সংস্কৃতির স্মারক। যারা মানবসৃষ্টভাবে প্রতিবন্ধী, তাদের দায় রাষ্ট্র কখনো এড়াতে পারে না। আমাদের রাষ্ট্রের সক্ষমতা অনেক কমেছে, আকাঙ্ক্ষা তুঙ্গে নিয়ে অনেক কিছু আমরা হয়তো চাইতে পারব না। কিন্তু বিদ্যমান কাঠামোর মধ্যে অনেক চাওয়া পূর্ণ করা সম্ভব বলে মনে করি।’
সংগঠক ও অ্যাকটিভিস্ট সালমা খাতুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বি–স্ক্যানের পরিচালক ইফতেখার মাহমুদ।
আমাদের রাষ্ট্রচিন্তা অত্যন্ত দুর্বল, রাষ্ট্র এবং সরকারের পার্থক্য বুঝি না- ফরহাদ মজহার
RELATED ARTICLES