জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, যারা বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে অপকর্ম করবে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মানুষ যাকে ভালেবাসবে সেই বিএনপি নেতা হবে। বিএনপিতে নতুন করে কাউকে আমদানি করতে হবে না। কারো অত্মীয় স্বজন যদি আওয়ামী লীগ করে তাকে যদি সাপোর্ট করতে চান তাহলে আপনাকেও ছাড় দেয়া হবে না। আমি যতদিন এই দায়িত্বে থাকবো ততদিন পর্যন্ত এমন কোনো অনৈতিক কাজে কেউ জড়িত থাকলে তাকে ছাড় দিবো না। সন্ত্রাস, লুটপাট, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে জনসভায় প্রধান অতিথীর বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর মাসদাইর বেকারির মোড় এলাকায় এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এস এম মাহামুদুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড বারী ভুইয়া, সিনিয়র সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার মনিরুল ইসলাম, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ সভাপতি নাজির আহাম্মেদ, আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন প্রমূক।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে, মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সাবেক এমপি শামীম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখানে যারা শামীম ওসমান রাজনীতি করেছেন, অনেকের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন। আমি কারো হাতে একটি লাঠিও তুলে দিবো না। কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই বিএনপিতে হবে না। এখানে একজন গডফাদার ছিলো। ৫ আগস্ট সেও পালিয়েছে। তিনি কিন্তু তার কোনো কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে করে নেননি। এবার আপনারা ভেবে দেখুন আপনারা এতদিন কার সঙ্গে ছিলেন। আমরা কখনও দেশ ছেড়ে যাইনি। কখনও যাবো না।