বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ছাত্র ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা খরচ দেবে সরকার। এজন্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসাধীনদের কাছ থেকে বিল না নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। শনিবার স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৫ জুলাই দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়। ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের মৃত্যুতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে।
সেই থেকে সরকার পতনের আন্দোলন এবং পরবর্তী সহিংসতায় কয়েকশ’ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হতাহতের ব্যাপারে অনুসন্ধান করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার এই কমিটি বৈঠক করবে এবং কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্দোলনে আহত হয়ে যে সব ছাত্র-জনতা সরকারি হাসপাতালে আছেন তাদের চিকিৎসা ব্যয় সরকার বহন করবে।
বেসরকারি চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ছাত্র-জনতার চিকিংসা বিল গ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে এসব বেসরকারি হাসপতালে চিকিৎসাধীন ছাত্র-জনতার সকল বিল সরকার বহন করবে।
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করবে সরকার
RELATED ARTICLES