অবশেষে দীর্ঘ ২৭ দিন পর আগামী ১৫ আগস্ট থেকে সারাদেশে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হতে যাচ্ছে। রবিবার (১১ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন বিষয়টি এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
ক্ষুদে বার্তায় বলা হয়েছে, আগামীকাল ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল/এক্সপ্রেস/লোকাল/কমিউটার ট্রেন এবং ১৫ আগস্ট থেকে আন্তঃনগর ট্রেন পর্যায়ক্রমে চলাচল করবে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট আগামীকাল বিকেল ৫টা থেকে ক্রয় করা যাবে। তবে পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।
এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই থেকে বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়েছে। তবে সরকারের কারফিউ জারির পর ১৯ জুলাই থেকে পুরোপুরি বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। এর মধ্যে গত ১-৩ আগস্ট পর্যন্ত সীমিত পরিসরে কমিউটার ট্রেন চলাচল করেছে।
মেট্রো রেল:
মেট্রোরেল চলাচল আগামী ১৭ আগস্ট শনিবার থেকে ফের শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন আপাতত বন্ধ থাকবে। রবিবার (১১ আগস্ট) মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মেট্রোরেলের কোচ, লাইন ও সংকেত ব্যবস্থার কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনের টিকিট বিক্রি ও যাত্রীদের ভাড়া আদায় সংক্রান্ত ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুটি স্টেশন বাদ দিয়ে বাকি ১৪ স্টেশনের মধ্যে মেট্রোরেল চালু হবে।
এর আগে, শনিবার (১০ আগস্ট) ডিএমটিসিএলের একটি সূত্র গণমামাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানিয়েছিল, কবে নাগাদ মেট্রো চলাচল শুরু হবে, তা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চূড়ান্ত করবে। দুই স্টেশন ছাড়া ১৪ স্টেশনে মেট্রোরেল যেকোনো সময় চালু করা সম্ভব। সিদ্ধান্ত পেলেই মেট্রোরেল চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষের মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরে থাকা পুলিশবক্স ও ফুটওভারব্রিজে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। অগ্নিসংযোগের পর ওইদিন বিকাল থেকে বন্ধ হয়ে যায় মেট্রো চলাচল। পরদিন ১৯ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।