বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ধ্বংস-প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা নয়, আসুন ভালোবাসা-শান্তি-জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলি। তিনি বলেন, ছাত্র-তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তরুণদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার কিছু আগে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে খালেদা জিয়া একথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, এ বিজয় আমাদের নতুন সংগ্রামে নিয়ে এসেছে। এখন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে। আসুন তরুণদের হাত শক্তিশালী করি।
তিনি বলেন, ‘আমি কারাবন্দি থাকাবস্থায় আপনারা আমার কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন, দোয়া করেছেন সে জন্য আমি আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমরা ফ্যাসিবাদী অবৈধ সরকারের তরফ থেকে মুক্তি পেয়েছি।’ ‘আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের বীর সন্তানদের, যারা মরণপণ সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে,’ যোগ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এই সংগ্রামে শত শত শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি বলেন, এই বিজয় নতুন সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে।
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-তরুণরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। তারা যে স্বপ্ন নিয়ে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে মেধা-যোগ্যতা-জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সব ধর্ম-বর্ণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।’ এর আগে দুপুর পৌনে তিনটায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী এবং রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকাজুড়েই নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন। তাদের হাতে জাতীয় পতাকা এবং বিভিন্ন নেতাকর্মীদের ব্যানার ফেস্টুন দেখা গেছে। স্লোগানে মুখরিত পুরো এলাকা।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে সমাবেশের শুরুতেই বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।