গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিকে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী র্যাব-১১ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান লেঃ কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা। গ্রেফতারকৃত আসামী মোসাদ্দেক সাদেক আলী নারায়ণগঞ্জ আড়াইহাজারের নয়াগাঁও গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে, জাকারিয়া একই এলাকার ইউনুস আলীর ছেলে ও জুলহাস দেওয়ান মুন্সিগঞ্জের চরমুক্তারপুর এলাকার কামাল দেওয়ানের ছেলে।
তিনি জানান, গত ৬ আগস্ট বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিদ্রোহ করে এবং কারাগার ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় কারারক্ষীরা তাদের নিভৃত করার চেষ্টা করলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামার মধ্যে দেয়াল ভেঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপরে ফেলে মই বেয়ে ২০৩ জন বন্দি পালিয়ে যায় এবং গুলিবিদ্ধ হয়ে ৬ জন বন্দি মারা যান।
গ্রেফতারকৃত আসামিরা ২০০৮ সালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার নয়াগাঁও এলাকায় একটি বাড়িতে চুরির ঘটনাকে একটি সালিশে সাদেক ও জাকারিয়া চুরির সাথে জড়িত বলে স্বাক্ষ্য দেন শামীম নামে এক ব্যাক্তি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৯ মার্চ ২০০৮ রাতে আসামীরা শামীম ভুইয়াকে হত্যা করে। সে মামলায় তাদের মৃত্যুদন্ডের আদেশ প্রদান করে আদালত।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামী জুলহাস দেওয়ান ২০১৪ সালের ১৩ই অক্টোবর নিজ সন্তান সাহাদকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে নিরুদ্দেশ থাকে। নিখোঁজ থাকার তিনদিন পর তাকে জিজ্ঞাসা করলে ছেলে হারিয়ে গেছে বলে নানা অজুহাতের আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্বীকারোক্তিতে নারায়ণগঞ্জ কয়লাঘাটা এলাকায় একটি মুরগি ফার্মের পাশে ডোবা থেকে শিশুটি’র মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির মা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে তাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয় আদালত।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামী জুলহাস দেওয়ান ২০১৪ সালের ১৩ই অক্টোবর নিজ সন্তান সাহাদকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে নিরুদ্দেশ থাকে। নিখোঁজ থাকার তিনদিন পর তাকে জিজ্ঞাসা করলে ছেলে হারিয়ে গেছে বলে নানা অজুহাতের আশ্রয় নেয়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্বীকারোক্তিতে নারায়ণগঞ্জ কয়লাঘাটা এলাকায় একটি মুরগি ফার্মের পাশে ডোবা থেকে শিশুটি’র মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শিশুটির মা তানিয়া বেগম বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ শুনানী শেষে তাকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয় আদালত।