মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম (এস) জয়শঙ্কর। দ্বীপরাষ্ট্রটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর প্রথম সফরে তিনি এ আহ্বান জানিয়েছেন। গত শনিবার মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর তিনি বলেন, ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্ক গভীর করতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
এর আগে এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ‘আমাদের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কের সার্বিক পর্যালোচনার জন্য আমি মালদ্বীপে আছি।’ উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই চীনের সঙ্গে সামরিক সহায়তা চুক্তি সই করেছে মুইজ্জুর প্রশাসন।
প্রাচীন সাদা বালুর সৈকত, নির্জন রিসোর্টসহ বিলাসবহুল ছুটির গন্তব্য হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। মালদ্বীপের সামুদ্রিক টহলকাজে সহযোগিতার জন্য দেশটিতে থাকা ভারতীয় সেনাদের একটি দলকে ক্ষমতায় আসার পর দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেন মুইজ্জু। এরপর বেইজিংয়ের সঙ্গে সামরিক চুক্তি সই করে মালে। এ নিয়ে ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখতে শুরু করে নয়াদিল্লি।
বৈশ্বিক পূর্ব-পশ্চিম জাহাজ চলাচলের পথটি ১ হাজার ১৯২টি প্রবাল দ্বীপ নিয়ে গঠিত মালদ্বীপের পাশ ঘেঁষে চলে গেছে। দেশটির জনসংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। মালদ্বীপকে সব সময় নিজেদের প্রভাব বলয়ের এলাকা হিসেবে দেখে আসছে ভারত।
গত শুক্রবার জয়শঙ্কর বলেছিলেন, ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। আর প্রতিবেশীদের মধ্যে মালদ্বীপ হলো অগ্রাধিকার।
মালদ্বীপকে সব সময় সমর্থন দিয়ে আসায় ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মুইজ্জু বলেন, ‘দেশ দুটির দীর্ঘদিনের অংশীদারত্ব অব্যাহতভাবে জোরদার হবে। নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে আমাদের দুই দেশের জনগণের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে।’
মালদ্বীপের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুসা জমির বলেছেন, দুই দেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। নয়াদিল্লির সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনার প্রস্তাব করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যৌথ সামরিক মহড়া অব্যাহত রাখা এবং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
মালদ্বীপের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক জোরদার
RELATED ARTICLES