পুলিশ সদস্যদের কাজে যোগদানের জন্য আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, পুলিশ সদস্যরা আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। পাশাপাশি কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল দখল-চাঁদাবাজি করলে তাদের পা ভেঙে দিতে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছি। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। দেশ এভাবে চলতে পারে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম কর্মদিবসে রবিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের ফোর্স এখনো জয়েন করেনি। তাদের জন্য শেষ তারিখ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। আপনারা যদি বৃহস্পতিবারের মধ্যে কেউ না আসেন, আমরা ধরে নেব আপনারা চাকরিতে আসতে ইচ্ছুক নন। সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এই বৃহস্পতিবারের মধ্যে যে যার জায়গায় চলে যাবেন, ডিউটিতে থাকবেন। যা হয়ে গেছে, অহেতুক কেউ কারও গায়ে হাত তুলবেন না। বিচার করার প্রক্রিয়া আমরা করব। বিচার বিভাগ বিচার করবে। যারা দোষী হবেন, বড় দোষী, ছোট দোষী যেই হোক, তাদের শাস্তি হবে। ঢালাওভাবে কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। এ বিষয়ে আইজিপি, র্যাবের মহাপরিচালক এবং মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলাপ করেছি।
এর আগে পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পুলিশের মোরাল অনেক ডাউন। চেষ্টা করছি যাতে পুলিশ ফিরে আসে। পুলিশ ফিরে না আসলে আপনারা দেখছেন যে ‘কী হতে পারে। একটু আগে দেখলাম ব্যাংকের মধ্যেও মারামারি। ব্যাংক দখল করবে কে কার আগে।’
পুলিশের গায়ে হাত না ওঠানোর আহ্বান জানিয়ে সাধারণ জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা পুলিশের গায়ে হাত ওঠাবেন না। আপনারা এখন দেখছেন যে, (পুলিশ ছাড়া) আপনারা নিজেরাই সাফার করছেন। রাতে আমার কাছে টেলিফোন আসে অমুক জায়গায় ডাকাতি হয়েছে। আমি বলি যে, আল্লাহ আল্লাহ কর, আর কিছু করার নেই। কী করার আছে সেখানে যদি পুলিশ না থাকে।
সচিবালয়ে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দল দখল-চাঁদাবাজি করলে তাদের পা ভেঙে দিতে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছি। এদেশে রাজনীতি করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে আইনের মধ্যে থেকে সবকিছু করতে হবে। এটা আপনাদের হোক বা না হোক তাতে কিছু করার নেই। আমি যতদিন পর্যন্ত আছি, এটা করে ছাড়ব। আপনারা স্বৈরাচারী হয়ে যাবেন এটা তো হবে না। উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে আমি একটি মেসেজ দিচ্ছি। একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থা আপনারা দেখেছেন, এত বড় একটা দল, এত ঐতিহ্যবাহী একটা দল। যার নামের সঙ্গে স্বাধীনতা জড়িত, আজকে তাদের সদস্যদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের জায়গায় কেউ যদি মনে করেন আমি আসলাম, দখল করব, বাজার দখল করব, ঘাট দখল করব, এটা দখল করব, চাঁদাবাজি করব। কিছুদিন করেন। কিন্তু আমি সেনাপ্রধানকে বলেছি, অনুরোধ করেছি, পা ভেঙে দিতে আপনাদের। ‘আই ডোন্ট কেয়ার, ইউ গো টু হেল’। সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আমি শুনেছি কাওরান বাজারে গিয়ে চাঁদাবাজি করেন। কিছুক্ষণ আগে শুনলাম ব্যাংক দখলে নেওয়ার জন্য মারামারি হচ্ছে। কিছুটা সময় আছে, এখন করেন। ভাই আমি জনগণও নই, আমি রাজনীতিবিদও নই, আমার ব্যাকগ্রাউন্ড হচ্ছে ফৌজি মানৃুষ। যা বলব তাই করব। এখানে একদিন থাকি, আর তিন দিন থাকি।
তিনি বলেন, আমি বারবার বলছি চাঁদাবাজি করবেন না। মানুষের দুর্ভোগ বাড়াবেন না। তাহলে আমি জনগণকে বলব আপনাদের পিটাইয়া দিতে, যারা চাঁদাবাজি করেন। জনগণের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, যারা চাঁদাবাজি করবেন তাদের ওখানেই ধরেন। কি করা লাগে, সেটা আমরা করব। শৃঙ্খলা ফেরাতে হবে। দেশ এভাবে চলতে পারে না।
পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগো পরিবর্তন হচ্ছে :
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বৈঠকের পর কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন ১১ দফা দাবিতে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যরা। ওই বৈঠকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও লোগো পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়। রবিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সঙ্গে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মশিউর রহমান, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম, বিজিবির মহাপরিচালক, পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা :
চাকরি স্থায়ীকরণের এক দফা দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিক্ষোভ করা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সবার দাবি-দাওয়া আছে। আমারও আছে। আমার দাবি- দাওয়া হলো আপনারা ফিরে যান। আমি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে আপনাদের কথা দিচ্ছি। এটা আমার দায়িত্ব যে আপনাদের কাছে আসা, আপনাদের কথা শোনা। যতদূর সম্ভব আমার পক্ষে ইমিডিয়েট যা করার করব।
তিনি বলেন, অন্য কোনো বাস্তবায়ন যদি থাকে, অন্য মন্ত্রণালয় থাকে, আমরা আলোচনা করে করব। আপনারা দয়া করে রাস্তাটা ছেড়ে দেন, রাস্তা থেকে চলে যান ! অন্যান্য ফোর্স বা অন্যান্য বাহিনী যারা আছে, প্রত্যেক বাহিনীর সঙ্গে আমি কথা বলব। আপনারা সবাই আমার পরিচিত। আপনাদের কমান্ডাররা আমার পরিচিত। আমি কোনো স্ট্রেইঞ্জ লোক না, আমি কোনো পলিটিশিয়ান না। আমি যা বলব তাই করব, তাই করার চেষ্টা করব।
চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ:
চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, চাটুকারিতা করলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমি আপনাদের প্রমিজ করছি যদি মিডিয়া চাটুকারিতা করে তাহলে মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে। টকশোতে চাটুকারদের ডাকবেন না। মিডিয়া চাটুকার হবেন না। একটা দেশ ডোবে কখন, যখন মিডিয়া সত্য কথা বলে না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মিডিয়াগুলো ওই সময় যদি সত্যি ঘটনা তুলে ধরত তাহলে পুলিশের এই অবস্থা হয় না। মিডিয়া বারবার বলেছে কিছুই হয়নি। কিন্তু বিবিসিতে আমি সব দেখেছি। তিনি বলেন, টকশোতে জ্ঞানগর্ভ কোনো আলোচনা হয় না। মিডিয়া সঠিক তথ্য তুলে ধরে না। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী লেখাপড়া জানা লোক। কিন্তু তিনি ছাত্রদের বললেন দুষ্কৃতকারী। এ সবের বিচার হওয়া উচিত ।
পুলিশকে লাঠিয়ালের মতো ব্যবহার করা হয়েছে :
পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনীর মতো ব্যবহার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, তাদের হাতে মারণাস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে, যা ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ বাহিনীকে আপনি লাঠিয়াল বাহিনীর মতো পরিচালিত করতে পারেন না। এই পুলিশ জনগণের পুলিশ।
‘পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র দিয়েছে। পুলিশের হাতে আমি সেভেন পয়েন্ট সিক্স টু দেখে আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। এটা বোধ হয় ১৫-২০ বছর আগে দেওয়া হয়েছে। পুলিশকে এই অস্ত্র দেওয়া ঠিক হয়নি। পুলিশ চলবে পুলিশ কমিশনের অধীনে। তিনি বলেন, পুলিশের মনোবল ভেঙে গেছে। অন্যায় হয়েছে। যারা আন্যায় করেছে তার জন্য তারা শাস্তি পাবে। পুলিশকে তারা ব্যবহার করেছে, আপনারা তাদের ধরেন।
তিনি বলেন, ‘এটা কোনো কথা হলো না। আপনি হুকুম দিয়ে ছেলেপেলে মারবেন, জনগণকে মারবেন আর জনগণ এটা করবে। আবার আসেন দেখেন জনগণ কী করে। ছিঁড়ে ফেলবে এবার। হুকুমদাতাকেই আমাদের বের করতে হবে। কারা পুলিশকে এরকমভাবে ব্যবহার করেছে, তাদের উদ্দেশ্যটা কী’।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের ওপর যে হামলা হয়েছে, তা খুবই বেদনাদায়ক। যদিও তারা যে কিছুই করেননি সেটাও বলব না। হাজারও তরুণ মারা গেছেন পুলিশ ও অন্যান্যের গুলিতে। পুলিশকে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সীমান্তে যে অস্ত্র ব্যবহার করা হয়, সেটা পুলিশকে দেওয়া হয়েছিল। তা একদমই ঠিক হয়নি। পুলিশকে আর কেউ লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে না। আমি চেষ্টা করব, যারা হুকুমদাতা ছিলেন তাদের ধরতে। দেশে না পেলেও বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনব।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশের যেই কাজ, সেনাবাহিনীর কাজ তা নয়। তারপরও তারা দায়িত্ব পালন করছেন। নির্দেশ দেওয়ার পরও যেসব পুলিশ সদস্য কাজে যোগ দেবে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যদের যে দাবিগুলো ছিল, আমি কথা দিচ্ছি সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। কিন্তু একটু সময় প্রয়োজন। পুলিশদের বলছি আপনারা থানায় ফিরে যান। জনগণ যখনই চাইবে দেশ স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
জনগণের সহায়তা কামনা করছি। পুলিশকেও সহায়তা করুন। একজনের ইচ্ছামতো কখনোই রাষ্ট্র পরিচালনা করা যায় না জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন ঠিকই কিন্তু সবার অংশগ্রহণেই দেশ স্বাধীন হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো রাজনীতিবিদ তৈরি করা হয়নি, চাটুকার তৈরি করা হয়েছে। এ ছাড়া আন্দোলনে মিডিয়ার ভূমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মিডিয়ার কারণেই পুলিশের এই অবস্থা। দেশের মিডিয়াকে এভাবে আর চলতে দেওয়া হবে না। এই সময়ে যদি কোনো মিডিয়া চাটুকারিতা করে তাহলে সেটা বন্ধ করে দেব। যত চেষ্টাই করুক লাভ হবে না। ছাত্রদের দুষ্কৃতকারী বানিয়েছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী। তার বিচার করা হবে। মিডিয়ার মালিকদেরও বিচার করা হবে। যদিও কয়েকজনের চাকরি চলে গেছে কিন্তু ছাড় দেওয়া হবে না। এ ছাড়া আবু সাঈদের হত্যার ঘটনায় রংপুরের পুলিশ কমিশনারকে সাসপেন্ডের কথা বলেছি আইজিপিকে। আওয়ামী লীগ খুবই পুরাতন একটা দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করি, নতুন নেতৃত্ব আসবে। নিয়ম না মানলে কোনো দলকেই রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।
রাস্তায় যেসব শিক্ষার্থী কাজ করছে সবাইকে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে :
পুলিশ প্রশাসনের অনুপস্থিতিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, রাস্তা পরিষ্কারসহ এই ধরনের কাজ যেসব শিক্ষার্থী করছে তাদের সনদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের নতুন মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম। তাদের উদ্দেশ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, যেসব শিক্ষার্থী রাস্তায় আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে তাদের পুলিশের পক্ষ থেকে সনদ দেবেন। আপনাদের (শিক্ষার্থীদের) পড়াশোনা এবং চাকরির ক্ষেত্রে যাতে এই সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন হয় যে, তারা নিজেদের পয়সা দিয়ে সড়ক পরিষ্কার, দেওয়াল সুন্দর করছে। সরকারি প্রজেক্ট হলে এক কাজে চারশ’, পাঁচশ’ বা হাজার কোটি টাকা লাগত উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা (শিক্ষার্থীরা) নিজেরা এটা করছে। একটা দেশে এর চেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে না ।
রাস্তায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেন এম সাখাওয়াত। তিনি বলেন, তারা আমার গাড়িও ধরেছে। পতাকা আছে। তারা বলছে, পতাকা থাক আর যাই থাক, ডিকি খোলেন। আমিও বললাম, ডিকি খোলো। পরে আমাকে দেখে তারা বলল, না স্যার ডিকি খুলতে হবে না। আপনি যান। আমরা এটা নিয়ে খুবই খুশি। এটা পুলিশ করতে পারত না, এরা করছে। এরা তো আপনার কাছ থেকে চাঁদা নেয় না, এরা তো কোনো দোকানে গিয়ে বলে না যে, আমাকে খাবার দাও। এরা নিজের খাবার নিয়ে আসে, নিজের টাকায় রং কিনে দেওয়ালে রং করছে। সরকারেরও এগুলো মূল্যায়ন করা উচিত বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। পুলিশ মহাপরিদর্শককেও এই বিষয়গুলো মূল্যায়ন করতে বলেন। তিনি বলেন, এই কাজের সঙ্গে যারা আছে প্রত্যেকের তালিকা করে সার্টিফিকেট দেবেন। এতে তারা খুশি হবে।